হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম । আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে 26 শে মার্চের কবিতা বা স্বাধীনতা দিবসের কবিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব । ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ রাতে অর্থাৎ ২৬ তারিখের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীরা বাঙালি জাতির উপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় ।তারা নির্বিচারের গুলি চালায় বাঙালিদের উপর । তখন বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেয় । তিনি যার কাছে যেটাই আছে না কেন সেটাই নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলে । তাইতো ২৬ শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় । কারণ ২৬ তারিখে সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য স্বাধীনতার ডাক দেয়া হয় । তাইতো প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস আসলেই আমাদের সেই কাল রাতের কথা মনে পড়ে । যতদিন পৃথিবীর বুকে রবে এই বাংলাদেশ নামক মানচিত্র ততদিনই আমরা এই স্বাধীনতাকে স্মরণ করে যাব ।
কখনোই আমরা বাংলার স্বাধীনতার কথা ভুলতে পারি না । কারণ ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের এই স্বাধীনতা । তাই ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনেক কবি রয়েছেন যারা কবিতা লিখে গেছেন । তাইতো তাদের লেখা ছোট কবিতাগুলো আমরা আজকে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরব । যাতে করে আপনারা খুব সহজে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কবিতাগুলো পেয়ে যান । ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে প্রতিটি স্কুলের নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । সেখানে অনেকেই আছেন যারা এই কবিতাগুলো আবৃতি করার জন্য অনলাইনে খুজে থাকেন । আশা করছি তারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে ২৬ শে মার্চের কবিতা গুলো পেয়ে যাবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক স্বাধীনতা দিবসের কবিতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ।
Table of Contents
স্বাধীনতা দিবসের কবিতা আবৃত্তি
২৬ শে মার্চ আপনারা যারা কবিতা আবৃতি করতে চান আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন । কারণ আমি আজকে আমার পোস্টের মাধ্যমে ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে বিশেষ কিছু কবিতা তুলে ধরব । যাতে করে আপনারা খুব সহজে আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে ২৬ শে মার্চের এই কবিতাগুলো পেয়ে যান এবং ২৬শে মার্চের যে কোন অনুষ্ঠানে আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারেন । আর কবিতা গুলো আবৃত্তি করে প্রথম স্থান অধিকার করতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে কবিতা আবৃতি ।
স্বাধীনতা দিবসের কবিতা
শহীদদের প্রতি
—আসাদ চৌধুরী
তোমাদের যা বলার ছিল
বলছে কি তা বাংলাদেশ ?
শেষ কথাটি সুখের ছিল ?
ঘৃণার ছিল ?
নাকি ক্রোধের,
প্রতিশোধের,
কোনটা ছিল ?
নাকি কোনো সুখের
নাকি মনে তৃপ্তি ছিল
এই যাওয়াটাই সুখের।
তোমরা গেলে, বাতাস যেমন যায়
গভীর নদী যেমন বাঁকা
স্রোতটিকে লুকায়
যেমন পাখির ডানার ঝলক
গগনে মিলায়।
সাঁঝে যখন কোকিল ডাকে
কারনিসে কি ধুসর শাখে
বারুদেরই গন্ধস্মৃতি
ভুবন ফেলে ছেয়ে
ফুলের গন্ধ পরাজিত
স্লোগান আসে ধেয়ে।
তোমার যা বলার ছিল
বলছে কি তা বাংলাদেশ ?
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস কবিতা
রিপোর্ট ১৯৭১
—–আসাদ চৌধুরী
প্রাচ্যের গানের মতো শোকাহত, কম্পিত, চঞ্চল
বেগবতী তটিনীর মতো স্নিগ্ধ, মনোরম
আমাদের নারীদের কথা বলি, শোনো।
এ-সব রহস্যময়ী রমণীরা পুরুষের কণ্ঠস্বর শুনে
বৃক্ষের আড়ালে স’রে যায়-
বেড়ার ফোঁকড় দিয়ে নিজের রন্ধনে
তৃপ্ত অতিথির প্রসন্ন ভোজন দেখে
শুধু মুখ টিপে হাসে।
প্রথম পোয়াতী লজ্জায় অনন্ত হ’য়ে
কোঁচরে ভরেন অনুজের সংগৃহীত কাঁচা আম, পেয়ারা, চালিতা-
সূর্য্যকেও পর্দা করে এ-সব রমণী।
অথচ যোহরা ছিলো নির্মম শিকার
সকৃতজ্ঞ লম্পটেরা
সঙ্গীনের সুতীব্র চুম্বন গেঁথে গেছে-
আমি তার সুরকার- তার রক্তে স্বরলিপি লিখি।
মরিয়ম, যীশুর জননী নয় অবুঝ কিশোরী
গরীবের চৌমুহনী বেথেলহেম নয়
মগরেবের নামাজের শেষে মায়ে-ঝিয়ে
খোদার কালামে শান্তি খুঁজেছিলো,
অস্ফুট গোলাপ-কলি লহুতে রঞ্জিত হ’লে
কার কী বা আসে যায়।
বিপন্ন বিস্ময়ে কোরানের বাঁকা-বাঁকা পবিত্র হরফ
বোবা হ’য়ে চেয়ে দ্যাখে লম্পটের ক্ষুধা,
মায়ের স্নেহার্ত দেহ ঢেকে রাখে পশুদের পাপ।
পোষা বেড়ালের বাচ্চা চেয়ে-চেয়ে নিবিড় আদর
সারারাত কেঁদেছিলো তাহাদের লাশের ওপর।
এদেশে যে ঈশ্বর আছেন তিনি নাকি
অন্ধ আর বোবা
এই ব’লে তিন কোটি মহিলারা বেচারাকে গালাগালি করে।
জনাব ফ্রয়েড,
এমন কি খোয়াবেও প্রেমিকারা আসে না সহজ পায়ে চপল চরণে।
জনাব ফ্রয়েড, মহিলারা
কামুকের, প্রেমিকের, শৃঙ্গারের সংজ্ঞা ভুলে গ্যাছে।
রকেটের প্রেমে পড়ে ঝ’রে গ্যাছে
ভিক্টোরিয়া পার্কের গীর্জার ঘড়ি,
মুসল্লীর সেজদায় আনত মাথা
নিরপেক্ষ বুলেটের অন্তিম আজানে স্থবির হয়েছে।
বুদ্ধের ক্ষমার মূর্তি ভাঁড়ের মতন
ভ্যাবাচেকা খেয়ে প’ড়ে আছে, তাঁর
মাথার ওপরে
এক ডজন শকুন মৈত্রী মৈত্রী ক’রে
হয়তো বা উঠেছিলো কেঁদে।
ছোটদের স্বাধীনতা দিবসের কবিতা
একটি পতাকা পেলে
— হেলাল হাফিজ
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস
ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন,–’পেয়েছি, পেয়েছি’।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে
ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বোশেখে,
বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,
সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ
সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।
সর্বশেষ কথা,
আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের কবিতা তুলে ধরেছি । আপনারা যারা স্বাধীনতা দিবসের ছোট কবিতা গুলো পেতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইটের প্রবেশ করুন । এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন । আমাদের ওয়েব সাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ।