হযরত আলি (রা.) ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলীফা । তিনি মাত্র 10 বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেছেন । হযরত আলি (রা.) এর পিতার নাম ছিল আবু তালেব । আবু তালেব ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর চাচা । হযরত আ (রা.) একজন শক্তিশালী খলিফা ,তার কথা শুনলেই কাফেররা ভয় পেত । বালকদের মধ্যে সর্বপ্রথম হযরত আলী ইসলাম গ্রহণ করেন । তিনি ইসলামের পাশে ছিলেন আজীবন । হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কোথাও যাওয়ার আগে তার সকল জিনিস হযরত আলীর কাছে আমানত রাখছেন । হযরত আলি (রা.) প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন । তিনি সব সময় জ্ঞান সাধনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন । তিনি আমাদের জন্য অনেক উক্তি এবং বাণী রেখে গেছেন ।
তাই আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে হযরত আলী এর উক্তি এবং বাণী তুলে ধরবো । আপনারা যারা হযরত আলী এর উক্তি এবং বাণী পেতেচান তারা আমাদের সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন । আশা করছি আপনারা সকলেই আমাদের এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক হযরত আলি (রা.)উক্তি এবং বাণী সম্পর্কে ।
হযরত আলী রাঃ এর উক্তি
আপনি কি হযরত আলী রা: এর উক্তি বা বাণী সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন । তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাকে স্বাগতম । আমি আজকে আমার পোস্টের মাধ্যমে হযরত আলী রা: এর উক্তি এবং বাণী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো । আপনারা যারা হযরত আলী রা: এর উক্তি এবং বাণী পেতেচান তারা আমাদের সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন । আশা করছি আপনারা আমাদের পোস্ট থেকে উপকৃত হতে পারবেন । এবং হযরত আলীর জ্ঞানী জ্ঞানী সকল উক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক হযরত আলী রা:এর উক্তি এবং বাণী সম্পর্কে ।
- দুনিয়াতে সব চেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে সংশোধন করা আর সব চেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা ।❤❤❤❤
- তুমি পানির মত হতে চেষ্টা কর, যে কিনা নিজের চলার পথ নিজেই তৈরী করে নেয় ।পাথরের মত হয়োনা, যে নিজে অন্যের পথরোধ করে |❤❤❤❤
- গোপন কথা যতক্ষণ তোমার কাছে আছে সে তোমার বন্দী । কিন্তু কারো নিকট তা প্রকাশ করা মাত্রই তুমি তার বন্দী হয়ে গেলে ।❤❤❤❤
- ছোট পাপকে ছোট বলিয়া অবহেলা করিও না, ছোটদের সমষ্টিই বড় হয় ।❤❤❤
- নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার অশ্লীল বাক্য ।❤❤❤❤
- পুণ্য অর্জন অপেক্ষা পাপ বর্জন শ্রেষ্ঠতর ।❤❤❤❤
- মানুষের কিসের এত অহংকার, যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায় ।❤❤❤
- সবচেয়ে সাহসী ও বীর্যবান ব্যক্তি হলো সেই যে স্বীয় কামনা বাসনার খেয়াল খুশির উপর বিজয় লাভ করতে সক্ষম।
- হযরত আলী (রাঃ) কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে এক ব্যক্তি অনাহুতভাবে তাকে গালাগাল দিতে শুরু করল। হযরত আলী লোকটির কাছে গিয়ে বললেন, ভাই! তুমি আমার সম্পর্কে যা কিছু বললে তা যদি সত্য হয় তবে আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন আর যদি তোমার এই সমস্ত কথা সত্য না হয় তবে আল্লাহ পাক যেন তোমাকে ক্ষমা করে দেন।
- প্রকৃত দ্বীনদারী পার্থিব স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমেই সম্ভব।
- কারো সাথে বাক্যলাপ না হওয়া পর্যন্ত তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করোনা।
- কেউ স্বীকৃতি না দিলেও তুমি তোমার সদাচরণ অব্যাহত রাখবে।
- বন্ধুত্ব করার মত কোন যোগ্যলোক পাওয়া না গেলেও অযোগ্যদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না।
- অল্প বিদ্যায় আমল বিনষ্ট হয়। শুদ্ধ জ্ঞানই আমলের পুর্ব শর্ত।
- সততার মাধ্যমে একজন নিরীহ প্রকৃতির লোকও যে মর্যাদার অধিকারী হয়, বুদ্ধিমানেরা রকমারী কলাকৌশল প্রয়োগ করেও তার নিকটে পৌঁছতে পারে না।
- ধন সম্পদের অহংকার থেকে আল্লাহর পানাহ চাও।এটা এমন একরোগ, যা মানুষকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়।❤❤❤
- সেই ব্যক্তির পক্ষেই সর্বাধিক সৎকর্ম করা সম্ভব,যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
- ত্বরিত ক্ষমা-প্রদর্শন ভদ্রতার নিদর্শন। আর ত্বরিত প্রতিশোধ গ্রহণ হীনতার পরিচায়ক।
- সম্মুখে তারিফ করে দুষমন সে জন ।
- যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না।
- তোমার যা ভাল লাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে।
- যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না!
- মানুষের চরিত্র সত্য ও সুন্দর হলে তার কথাবার্তাও নম্র ভদ্র হয়।❤❤❤❤
- অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে।
- আত্মীয়ত্যাগী ধনী অপেক্ষা আত্মীয়বত্সল গরিব ভালো।
- স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বড় সুখ আর কিছু নেই।
- সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষন।
- ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন।
- যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না।
- কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে।
- কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রুপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে কোন অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।
- শত্রুরা শত্রুতা করতে কৌশলে ব্যর্থ হলে তারপর বন্ধুত্বের সুরত ধরে।
- মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু।
- হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে।
- যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে।
- বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না।
- হযরত আলী (রাঃ) মতে নিন্মলিখিত কারণসমুহ দেখা দিলে ক্ষমতাসীনদেরকে রাজ্য-হারা হতে হয়।
(ক) অযোগ্য অনুপযুক্ত লোকের হাঁতে রাজ্য ক্ষমতা থাকলে।
(খ) যোগ্য ব্যক্তিকে রাজ্য ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে ।❤❤❤❤
(গ) দেশ হতে সুবিচার চলে গেলে। ( কেননা রাজ্য ক্ষমতা স্থায়িত্বের একমাত্র সোপান হলো সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা)।
(ঘ) মানুষ যখন নীতিহারা হয়ে প্রচলিত আইন ও কর্তব্য কাজে ফাকি দিতে থাকে।
(ঙ) শাসক শ্রেণীর লোকজন বৃহৎ সমস্যাসমূহকে বাদ দিয়ে ক্ষুদ্র বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করলে। - লোকের যে সমস্ত দোষ ত্রুটির উপর আল্লাহ পর্দা দিয়ে রেখেছেন তা তুমি প্রকাশ করার চষ্টা করো না।
- অজ্ঞদেরকে মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই মৃত অবস্থায় কাল যাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সমাহিত; কেননা তাদের অন্তর মৃত, আর মৃতের স্থান কবর।
- অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিতের অন্তরে যে বিদ্বেষাগ্নির জন্ম হয়, তা অত্যাচারীকে ভস্ম করেই ক্ষান্ত হয় না, সে আগুনের শিখায় অনেক কিছুই দগ্ধীভূত হয়।❤❤❤❤
- আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।❤❤❤❤❤
- সৎ কাজ অল্প বলে চিন্তা করো না, বরং অল্পটুকুই কবুল হওয়ার চিন্তা কর।
- সর্বাপেক্ষা করুণার পাত্র হচ্ছে ঐ ব্যক্তি-
ক) যে আলেম ব্যক্তির উপর জাহেলরা কতৃত্ব করে।
খ) যে ভদ্রব্যক্তি কোন ইতর লোকের অধীন হয়ে পড়ে।
গ) ঐ সৎব্যক্তি যার মাথার উপর পাপিষ্ঠ চেপে বসে। - সর্বোত্তম বক্তব্য সেটিই, স্বয়ং বক্তা যা কার্যে পরিণত করে।
- সর্বাপেক্ষা আহাম্মক ঐ ব্যক্তি যে অন্যের বদঅভ্যাসের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে, এবং লোক চক্ষুর আড়ালে নিজেই সেই সব বদঅভ্যাসে জড়িত থাকে।
- দুনিয়া ও আখেরাত দুই সতীনের ন্যায়। স্বামী যেমন একজনকে খুশি করতে চাইলে অন্যজন ক্ষিপ্ত হয়। তেমনি কেউ দুনিয়ার জীবনকে সুখময় করতে চাইলে আখেরাতের ক্ষতি এবং আখেরাতকে নির্বিঘ্ন করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ক্ষতি স্বীকার করা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
- বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে,আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়।
- অনুশোচনা খারাপ কাজকে বিলুপ্ত করে আর অহংকার ভালো কাজকে ধ্বংস করে।
- অনর্থক কামনা নিজেই একটি ধ্বংসাত্ব।❤❤❤❤