প্রিয় ভিউয়ার্স আপনার উপরে আমাদের টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছেন আজকের এই পোষ্ট টি রমজান মাসের ফজিলত এবং রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে ।দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করে রমজান মাস আমাদের মাঝে আসে ।প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য এ মাসটি হচ্ছে আনন্দের মাস ।এ মাসে সবাই রোজা রাখে নামাজ পড়ে ।এই মাস টিতে একবার যে ভাল কাজ করা যায় তার জন্য 70 বার সওয়াব পাওয়া যায় ।রোজা শব্দ কি হচ্ছে একটি ফারসি শব্দ ।এর আরবি শব্দ হচ্ছে সাওম বহুবচনে যাকে বলা হয় সিয়াম। সিয়াম শব্দের অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা বা পরিত্যাগ করা । এই রমজান মাসে আমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ভোরবেলা থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত পানাহার পরিত্যাগ করা কে রোজা বলে । এই রমজান মাসে অনিক হযরত রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না ।
আমরা যেন আল্লাহ ভীরু হতে পারি সেজন্য মহান আল্লাহতালা আমাদের জন্য এই মহামান্বিত মাস টি আমাদের মাঝে প্রেরণ করে । এই রমজান মাসেই মহান আল্লাহতালা লাইলাতুল কদরের রাতে কোরআন শরীফ নাযিল করেন । রমজান মাসে আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য রোজাকে ফরজ করে দিয়েছেন । এই মাসটিতে আল্লাহতালা আমাদের রোজা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন এবং কেউ যদি বাদ দিয়ে থাকে অসুস্থতার কারণে বাস হয়ে থাকার কারণে তাহলে তাকে গুনে গুনে সব রোজা পরবর্তীতে দিতে বলেছেন । সুতরাং রমজান মাসের গুরুত্ব আমাদের জন্য অপরিসীম ।
Table of Contents
রমজানে রোজার গুরুত্ব
রমজান মাসে রোজার গুরুত্ব অপরিসীম ।মহান আল্লাহ তায়ালা রোজা কি আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন ।রমজান মাসে আমরা যদি কেউ রোজা থাকি বা সফরে থাকে তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পরবর্তীতে গুনে গুনে সকল রোজা দিতে বলেছেন ।তবুও তিনি আমাদের জন্য রোজা বাধ্যতা মূলক করে দিয়েছেন ।হজরত আবু হোরায়রা (রা.) আরও বর্ণনা করেন রাসুলে পাক (সা.) বর্ণনা করেন, প্রত্যেক বস্তুর জাকাত রয়েছে, তেমনি শরীরেরও জাকাত আছে, আর শরীরের জাকাত হচ্ছে রোজা পালন করা।তাই তো আমাদেরকে রোজা পালন করতেই হবে না হলে আমরা গুনাগার হয়ে যাব আর এই রমজান মাস হচ্ছে আমাদের গুনাহ মুক্তির মাস ।আমরা বেশি বেশি রমজান মাসে গুনাহ ও মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করব ।
রোজা রেখে সর্ব প্রকার গুনাহ বর্জন
রোজা রেখে আল্লাহতালা আমাদের সকল গুনাহ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন ।বিশেষ করে আমরা এই রমজান মাস টিতে সকল প্রকার গুনাহ থেকে বিরত থাকব ।এই রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা সকল জান্নাতের দরজা খুলে দেন আর জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন ।তিনি এ মাসেই শিকল দ্বারা শয়তানকে বেঁধে রাখেন ।যাতে করে শয়তান আমাদের মাঝে কুমন্ত্রণা ঢুকিয়ে দিতে না পারে ।মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন শয়তান তোমাদের শত্রু আর তোমরা শত্রু থেকে দূরে থাকো ।তাই আমরা সবাই শয়তানি কাজকর্ম থেকে বিরত থাকব এবং এই মাসটিতে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করব ।
রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা
মহান আল্লাহতালা আমাদের জন্য জান্নাতে একটি বিশেষ দরজা তৈরি করে রেখেছেন যেটা শুধু রোজাদার রাই ভোগ করতে পারবে ।যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোজা দিয়ে থাকেন শুধু তাদের জন্যই মহান আল্লাহতালা এই দরজা খুলে রাখবেন ।আল্লাহতালা মোট আটটি জান্নাত তৈরি করেছেন এর মধ্যে একটির নাম হচ্ছে রাইয়ান ।এই রাইয়ান দরজা দাঁড়া বান্দারা জান্নাতে প্রবেশ করবে ।হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে একটি দরজার নাম ‘রাইয়ান’। এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্যরাও এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইবে। কিন্তু রোজাদার ব্যতীত অন্য কাউকে এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। (বুখারি ও মুসলিম)।
রোজার প্রতিদান
মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি রোজাদারদের প্রতিদান নিজ হাতেই দিবেন ।যারা আল্লাহকে ভয় করে চলে মহান আল্লাহতালা তাদেরকে ভালোবাসে ।তাদেরকে তিনি পুরস্কার দিবেন আর যারা আল্লাহকে ভালবেসে রোজা দিবে তাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতেই পুরস্কৃত করতে চেয়েছেন ।সুতরাং আমরা যারা রোজা বিনা কারণে রোজা দেইনা তারা রোজা দেওয়ার চেষ্টা করব ।মহান আল্লাহ তায়ালার হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার আশায় জেনো আমরা রোজা রাখতে পারি ।এখন আমরা রমজান মাস সম্পর্কে উল্লেখিত হাদীস আপনাদের সামনে তুলে ধরব ।
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন রাসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, সিয়াম এবং কোরআন হাশরের ময়দানে বান্দা-বান্দীর জন্য সুপারিশ করবে এবং আল্লাহ তাআলা তাঁদের উভয়ের সুপারিশ কবুল করবেন।
- হজরত আবু হােরায়রা (রা.) আরও বর্ণনা করেন রাসুলে পাক (সা.) বর্ণনা করেন, প্রত্যেক বস্তুর জাকাত রয়েছে, তেমনি শরীরেরও জাকাত আছে, আর শরীরের জাকাত হচ্ছে রােজা পালন করা।
- অর্থাৎ জাকাতদানে যেভাবে মালের পবিত্রতা অর্জন হয়, তেমনি রােজা পালনের মাধ্যমে শরীর পবিত্র হয়, গুনাহ মুক্ত হয়।
- হজরত আবু হােরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলে পাক (স.) ইরশাদ করেন, মানুষের প্রত্যেক আমলের সওয়াব দশ গুণ হতে সাত শত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
- হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রােজা এ নিয়মের ব্যতিক্রম, কেননা তা বিশেষভাবে আমার জন্য আমি স্বয়ং তার প্রতিদান দেব, বান্দা তার পানাহার ও কামনা-বাসনাকে আমার সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করেছে।