আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) জিবনে কখনও আজান দেননি । নবিজী নিজ মুখে কখনও বলেন নি যে তিনি কেন আজান দেননি । কিন্তু তিনি বলেছেন তোমরা আজান দাও আজানের গুরুত্ত আছে ।
আযান না দেওয়ার কারনঃ
এখন প্রশ্ন কেন তিনি আযান দেননি। ইসলাম যখন মধ্য যুগে সাহাবিরা যখন মসজিদে আসতে শুরু করছে তখন প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) বললেন আমরা মানুষ কে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে মানুষ কে ডাকি, আচ্ছা এমন কি কাজ করলে মানুষ বুঝতে পারে যে তাদের নামাজের জন্য ডাকতেচ্ছে ।
একেকজন একেক কথা বলতেচ্ছে একজন সাহাবি বললো যে ইয়া রাসুলুল্লাহ আমরা ঢোল বাজাবো , তখন ও ঢোল হারাম হয়নি, আরেকজন বললো না আমরা আগুন জ্বালাব আগুনের ধোয়া দেখে মানুষ নামাজে আসবে।আরেকজন সাহাবি বললো ইয়া রাসুলুল্লাহ আমরা পতাকা উত্তলন করব ,পতাকা দেখে সবাই নামাজে আসবে । আরেকজন বললো না আমারা সিংগায় ফুক দিবো, সিংগায় ফুক দিলে বুঝতে পারবে যে নামাজের জন্য ডাকতেছে ।
নবি কারিম (স) একটি ও পছন্দ করলেন না । সেখানে বসে থাকা সব সাহাবি নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলেন ,বাড়িতে এসে সবাই ঘুমালেন । আল্লাহর নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ (র) রাতে স্বপ্নে দেখলে একজন সিংগায়ালা সিংগা বিক্রি করতেছে । আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ (র) বললেন ও সিংগায়ালা ভাই আমাকে একটা সিংগা দাও সিংগায়ালা বললেন, তুমি সিংগা দিয়ে কি করবে, আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ (র) বললেন আমি সিংগা দিয়ে মানুষে নামাজের জন্য ডাকব ।
সিংগায়ালা বললো ও আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ এই সিংগার থেকে কিছু গুরুত্ত পূর্ণ কথা শিখিয়ে দেব তুমি কি শিখবে ,এই কথা গুলো বলে যদি মানুষ কে নামাজের দিকে ডাক তাহলে খুব সহজে মানুষ নামাজে চলএ আসবে । আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ বললেন ও সিংগায়ালা দাও না আমাকে ওই কথা গুলো শিখিয়ে ,সিংগায়ালা বললো আমার সাথে তুমি বাক্য বলো, (আল্লাহু আকবার) ওই সিংগায়ালা যখন বাক্যগুলো শিখিয়ে দিলেন তখন তিনি উদাও হয়ে গেলেন ।
আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ (রা) ঘুম ভেঙ্ঘে গেলে ফজরের নামাজের সময় রাসুলুল্লাহ (স) কে সব কথা খেলে বললেন। রাসুলুল্লাহ (স) বললেন ও আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ তুমি একটু বাক্য গুলো শুনাও দারাজ কন্ঠে যখন বাক্য গুলো পাঠ করতে লাগলেন, রাসুলুল্লাহ (স) বললেন ও আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ আল্লাহর কসম করে বলতেছি তুমি স্বপ্নে যে সব দেখেছ সব বাস্তব । আর সিংগায়ালা যান তেন সিঙ্গায়ালা না আল্লাহর পক্ষ থেকে জিব্রাইল আমিন তোমাকে শিখিছেন (সুবহানআল্লাহ) । রাসুলুল্লাহ (স) বললেন আব্দুল্লাহ ইবনে জাহিদ ডাক আমার কালো বেলাল কে আর শিখিয়ে দাও সব বাক্য গুলো।
fact-billal
কম দামে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে গেমিং ফোন । chief rate gaming phon 2022 ।
বাক্য গুলো যখন একটি একটি করে শিখাচ্ছেন আর মনে হচ্ছে আসমান থেকে আজানের বাক্য গুলো নাজিল হচ্ছে। বেলাল (রা) যখন আজান দিচ্ছে দূরে থেকে হযরত ওমর (রা) তাকিয়ে ভাবতেছেন , কিরে এই আওয়াজ গূলো তো চেনা চেনা লাগছে দৌড়ে এসে বলেন ও গো নবিজী এই বাক্য গূলো আমি কাল রাতে স্বপ্নে দেখেছি।
এক না মোট ১৪ জন সাহাবি একই রাতে স্বপ্ন দেখেছে । নবিজী বললে আজ থেকে তোমরা এই বাক্য/আজান দিয়ে মানুষ কে ডাকবে । এখন কথা হল সবাই আজান দেয় কিন্তু নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) আজান দেন না কেন ? । নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) যখন কাউকে আদেশ করে বা আহবান করে তখন মানাটা অত্যবশক হয়ে যায় ।
ইমাম মহদাসরা বলছে কারন(১) হযরত মুহাম্মদ (স.) যদি আজান দিত তাহলে কোন মুসলিম যদি নামাজ মসজিদে না পড়ে বাড়িতে পড়ত তা হলে তার কবিরা গুনাহ হত। কারন ২= আজানের মধ্য আছে (আসহাদুয়ান্নাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ) মানে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল ।
আল্লাহর নবি যদি নিজেই নিজেকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে অন্য কেউ ভাবতে পারে যে ইনি না হয়তো অন্য কোন নবির বেপারে স্বীকৃতি দিচ্ছে । কারন (৩) কেউ কেউ বলছে ইমামের দায়িত্ত সবচেয়ে বড দায়িত্ত আর মহজ্জনের দায়িত্ত হচ্ছে ছোট দায়িত্ত । হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন আমাদের সবার নেতা, অবিভাবক,রাস্ট্রনেতা। তিনি মহাজ্জানি করবেন এটা মানান সই না এটা একটা কারন এজন্য তিনি আজান দেননি ।