অবশেষে ধরা পড়লো সেই পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননাকারী কে দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল । মনে হয় তা এখন শেষ হবে । সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পরল সেই ব্যক্তি । সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় এক ব্যক্তি কুরআন হাতে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশের কয়েকটি টিম সন্দেহভাজক অনেক খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারল যে এই সেই ব্যক্তি যে মন্দিরে মূর্তির পায়ে কুরআন শরিফ করে রেখেছিল । ব্যক্তিটি বর্তমান নিখোঁজ অবস্থায় আছে পুলিশ যথেষ্ট তদন্ত চালাচ্ছে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য ।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরীফ রাখা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে । তার নাম ইকবাল হোসেন (৩৫) বাবার নাম নুর আহমেদ আলম । বাড়ি কুমিল্লা সুজা নগর এলাকায় ।
সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেন কে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে । কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে ঘটনায় একজন কে চিহ্নিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
ফারুক আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না ।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার প্রথম আলোকে বলেন পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এই নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে । দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা শহরের নদীর উত্তর পাড়ে উদ্যোগে আয়োজিত পবিত্র কুরআন দেখা যায় এরপর কুরআন শরীফ কুরআন শরিফ অবমাননা অভিযোগ তুলে ওই মন্ডপে হামলা চালায় একদল লোক সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর হয় ।
এ ঘটনার জের ধরে ঐদিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের উপর হামলা করতে যাওয়া একজন ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয় সেখানে নিহত হন চারজন । পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির মন্ডপ ও দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে হামলায় নিহত হন দু’জন ।
এরপর রংপুর পীরগঞ্জ হিন্দু বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে দেশের আরো অনেক এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে ।
কুমিল্লা পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে গত বুধবার ওই ঘটনার পর গত সপ্তাহে ঢাকা-কুমিল্লা পুলিশের তদন্তে নামে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দীর্ঘ অনুসন্ধানের বিষয় নিশ্চিত করা গেছে । পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে এই ইকবাল হোসেন ভবঘুরে । কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করা যায়নি । তবে পুলিশ থেমে নেই এর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এর পিছনে কে বা কাহারা আছে তা নিশ্চিত করতে তারা কঠোর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে । পুজো মণ্ডপের ঘটনা বাংলাদেশে উৎশৃংখল পরিবেশ দাঁড়িয়েছিল । যেখানে সেখানে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ তাণ্ডব চালছিল । নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার লুটপাট এতদিন বিভিন্ন ধরনের জুলুম চালিয়ে যাচ্ছিল । আজ তার আবসান ঘটলো । সনাতন ধর্মাবলীরা সব সময় ভয়ে আতঙ্কে থাকত কখন কে এসে আবার হামলা চালায় মন্দির ভাংচুর করে বাড়িতে আগুন দেন । প্রতেক্ষ্য দোষীকে বের করায় খুশি সব প্রকার মানুষ ।