হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন । মহান আল্লাহতালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত দের জন্য । আমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি মহান আল্লাহ তায়ালার এবাদত করে এজন্য মহান আল্লাহতালা আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম করে দিয়েছে । আমাদের জন্য মহান আল্লাহতালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি ফরজ করে দিয়েছেন । আর আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে একটি ওয়াক্ত নামাজের বিষয়ে আলোচনা করব । আজকে আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে ফজরের নামাজ সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
আজকে যারা আপনারা আমাদের পোস্টে প্রবেশ করেছেন তারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে ফজরের নামাজের উপকারিতা এবং ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । তবে শুধু ফজরের নামাজ নয় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেই আমাদের নিয়মিত পড়তে হবে কারণ মহান আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি ফরজ করে দিয়েছে । তাই আপনারা যারা ফজরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বা উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন ।
ফজরের নামাজের উপকারিতা
আমরা মুসলিম তাই মুসলমানদের প্রত্যেকটি নামাজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন রয়েছে । কোন নামাজের গুরুত্ব কেমন সে বিষয়ে আমাদের প্রকৃত জ্ঞান থাকা দরকার । তাই অনেকেই আছেন যারা ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকেন । ফজরের নামাজের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আমি আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেবো আশা করছি আপনারা যারা ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদেরই পোস্টটি থেকে উপকৃত হতে পারবেন ।
যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে ফজরের নামাজ পড়বে সে কখনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবে না ।যারা নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করে তাদের মন সবসময় ফুরফুরে এবং প্রফুল্ল থাকে । ফজরের নামাজ পড়ে মাঠে-ঘাটে কাজ করতে গেলে আল্লাহতালা সংসারের মধ্যে বরকত দিয়ে থাকেন । আরো কিছু প্রবলেম সম্পর্কে আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করবো আশা করছি আপনারা যারা ফজরের নামাজ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদেরই পোস্ট থেকে উপকৃত হতে পারবেন ।
ফজর নামাজের উপকারিতা
- রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।
(বুখারী-মুসলিম) - রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!
(সহিহ মুসলিম-১০৯৬) - রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।
(আবু দাউদ ৪৯৪,তিরমিযী) - যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন।অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে।
(বুখারী-৫৭৩) - ফজরের সালাত আদায়কারী,রাসূল (সাঃ)-এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন।
(সুনানে আবু দাউদ,মুসনাদে আহমাদ) - ফজরের দু রাকাত সুন্নত সালাত, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম।
(জামে তিরমিজি – ৪১৬) - যে নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করবে,
সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না।
(সহিহ মুসলিম ৬৩৪) - ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে,প্রফুল্ল হয়ে যায়।
(সহীহ বুখারী, সহিহ মুসলিম) - ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী,কেননা
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, - মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর!
(বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪…মুসলিম–৬৬১) - রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়।
অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।
(সহিহ মুসলিম,তিরমিজি–২১৮৪) - যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে নিয়মিত মহান আল্লাহতালা তার চেহারাকে উজ্জ্বল করে দেন
- ফজরের নামাজ নিয়মিত পড়লে চেহারা অনেক সুন্দর হয়
সর্বশেষ কথা,
আশা করছি আপনারা প্রত্যেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়বেন । আর আপনারা যারা ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান আশা করি আপনারা প্রত্যেকেই ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন । এখন থেকে আপনারা কখনোই ফজরের নামাজ কাজা করে পড়বেন না প্রত্যেকেই ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করবেন । আশা করছি আপনারা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হতে পেরেছেন এবং ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ।