Skip to content
Home » নামাজের ফরজ কয়টি ও কি কি | নামাজের ফরজ সমূহ

নামাজের ফরজ কয়টি ও কি কি | নামাজের ফরজ সমূহ

  • by
নামাজের ফরজ সমূহ

মহান আল্লাহতালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য । তাই আমরা প্রত্যেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করব । অনেকেই আছেন যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কে ভালো করে জানেন না । জানেন না নামাজের ফরজ, সুন্নত ওয়াজিব গুলো সম্পর্কে । নামাজের ফরজ কয়টি সে বিষয়েও তাদের সঠিক ধারণা নেই । তাই আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে নামাজের ফরজ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দিব । যাতে করে আপনারা নামাজের ফরজ গুলো আদায় করতে পারেন এবং সঠিকভাবে সালাত আদায় করতে পারেন । নামাজের ফরজ 13 টি । আহকাম সাতটি আর আরকান কয়টি । এখন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে এই 13 টিচার সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেবো যাতে করে আপনারা নামাজের ফরজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন ।

নামাজের ফরজ সমূহ

আপনি কি নামাজের ফরজ সমূহ সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন তাহলে আমাদের আজকের পোস্টে আপনাকে স্বাগতম । কারণ এখন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে নামাজের ফরজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব । যাতে করে আপনারা সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন ।  সালাত আদায় করতে হলে অবশ্যই  সালাতের ফরজ গুলো সম্পর্কে  জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণের মধ্যে একটি ছুটে গেলে নামাজ হবে না । তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক  নামাজের ফরজ সমূহ সম্পর্কে ।

নামাজের ফরজ সমূহ আহকাম

নামাজের আহকাম বলতে যেটাকে আমরা বুঝি নামাজ পড়ার আগে যে সকল ফরজ কাজ গুলো করা হয় তাকে বলা হয়  আহকাম । এই  আহকাম গুলো আমাদের সুন্দরভাবে  পালন করতে হবে তা না হলে আমাদের সঠিকভাবে নামাজ আদায় হবে না । নামাজের এই ফরজ কাজ গুলোর মধ্যে একটি যদি বাদ পড়ে তাহলে আমাদের নামাজ আদায় হবে না । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক নামাজের আহ্বান সম্পর্কে ।

  1. শরীর পাক হওয়া
  2. কাপড় পাক হওয়া
  3. নামাজের জায়গা পাক
  4. সতর বা শরীর ঢাকা
  5. কিবলামুখী হওয়া
  6. ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়া
  7. নামাজের নিয়্যাত করা

নামাজের ফরজ আরকান সমূহ

নামাজ শুরু করার পর যেসব  নিয়ম পালন করা হয় তাকে নামাজের আরকান বলে । নামাজের আরকান মোট কয়টি । আপনারা যারা নামাজের আরকান সমূহ সম্পর্কে জানেন না তারা এখন নামাজের আরকান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের পোস্টের মাধ্যমে । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক নামাজের আরকান সমূহ সম্পর্কে ।

  1. তাকবিরে-তাহরিমা বলা
  2. দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া
  3. ক্বেরাত পড়া
  4. রুকু করা
  5. সিজদা করা
  6. শেষ বৈঠক করা

নামাযের ওয়াজিব সমূহ

আমরা অনেকেই আছি যারা নামাজ পড়ি কিন্তু নামাযের ওয়াজিব সমূহ সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই । ওয়াহিদ শব্দের অর্থ হচ্ছে আবশ্যক । নামাজের মধ্যে কিছু ওয়াজীব আছে তা আমাদের মেনে চলতে হবে তার মধ্যে যদি কোন ওয়াজিব ছুটে যায় ভুলক্রমে তাহলে আমাদের শাহ সেজদা দিতে হবে । আর  সাহু সিজদা না দিলে  পুনরায় নামাজ পড়তে হবে । আর কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাযের ওয়াজিব সমূহ  বাদ দেয় তাহলে তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে হবে । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক নামাযের ওয়াজিব সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত ।

  1. প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা।
  2. সূরা ফাতিহার পর অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়া।
  3. নামাজের রুকন গুলি ঠিক রাখা । অর্থাৎ রুকু সেজদা করা এবং তারতীবের প্রতি লক্ষ্য রাখা।
  4. প্রথম বৈঠক
  5. রুকু’থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো
  6. সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসা
  7. আত্তাহিয়াতু পড়া
  8. সালাম ফিরান
  9. দুই সিজদার মধ্যখানে বসা।
  10. দু’আ কুনুত পাঠ করা
  11. দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা।
  12. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুন্নত ও নফল নামাজে সকল রাকাতে সূরা ফাতিহার শহিত অন্য একটি সূরা পড়া।
  13. নামাজের ও রোকন গুলো আস্তে আস্তে আদায় করা ।
  14. যে নামাজে উচ্চস্বরে পড়তে হয় তাহা উচ্চস্বরে পড়া এবং যে নামাজে আস্তে আস্তে পড়া হয় তাহা আস্তে আস্তে পড়া।

নামাজের সুন্নত সমূহ

  1. তাকবীর বলিয়া দুই হাত কর্ণের লতি পর্যন্ত উঠানো।
  2. হাতের আঙ্গুল পরস্পর পৃথক রাখা ।
  3. ইমামের জন্য নামাজ আরম্ভের তাকবীর উচ্চস্বরে পড়া ।
  4. ছানা পাঠ করা।
  5. আউযুবিল্লাহ পাঠ করা।
  6. বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
  7. সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম-মুক্তাদীগণ এর মৃদুস্বরে আমিন বলা ।
  8. পুরুষের জন্য নাভির উপরে হাত বাধা স্ত্রীলোকের জন্য সিনার উপর হাত বাধা।
  9. রুকুর তাকবীর বলা।
  10. রুকুতে দুই হাটু ধরা ও আঙ্গুলসমূহ পরস্পর পৃথক রাখা।
  11. রুকুর ভিতরে তিনবার, পাঁচবার, ব সাতবার তাজবিহ বলা।
  12. রুকু হইতে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
  13. রুকু হতে উঠার সময় ইমামের সামি আল্লাহু হুলিমান হামিদাহ ও মুক্তাদীগণ এর রব্বানা লাকাল হামদ বলা।
  14. সিজদায় গিয়ে দুই হাটু ও তাকবীর বলিয়া বসা।
  15. সিজদায় তাজবিহ পড়া।
  16. পুরুষের জন্য সেজদা হইতে উঠিয়া ডান পা খাড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসা ।আর স্ত্রীলোকের উভয় পা ডান দিকে বাহির করিয়া সতরের এর উপর বসা ।
  17. সিজদা থেকে উঠে এক তাসবিহ পরিমাণ সময় বসিয়া থাকা।
  18. দরুদ শরীফ পাঠ করা।
  19. দোয়া মাসুরা পড়া সূরা।
  20. দুই দিকে সালাম ফিরানো

পুরুষ এবং স্ত্রীলোকের নামাজের পার্থক্য

পুরুষ এবং স্ত্রী লোকের নামাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে । অবশ্যই আমাদের সে নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে । অনেকেই আছেন যারা পুরুষ এবং স্ত্রীলোকের নামাজের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন না । তাই আপনারা যারা এ বিষয়ে অবগত নন তারা আমাদের পোস্টের মধ্যে বিস্তারিত জানতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক পুরুষের স্ত্রী লোকের মধ্যে নামাজের পার্থক্য । এবং অবশ্যই আপনার এই নিয়মগুলো মেনে চলবেন ।

১।তাকবীরে তাহরীমার সময় পুরুষ চাদরের নিচ হতে হাত বাহির করে কান পর্যন্ত উঠাবে । কিন্তু স্ত্রীলোক লোক বাহির করিবেনা। কাপড়ের ভিতর রেখে কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে।
২। তাকবীরে তাহরীমা বলিয়া পুরুষ নাভির উপরে হাত বাঁধিবে। স্ত্রীলোক বুকের উপর হাত বাঁধিবে ।
৬।সিজদায় পুরুষ কনুই মাটি হইতে উপরে রাখিবে স্ত্রীলোক মাটির সঙ্গে মিলিয়ে রাখিবে।
১০। নামাজে বসার সময় পুরুষ ডান পায়ের আঙুলগুলি কেবলার দিকে মোড়াইয়া রাখিয়া তাহার উপর ভর দিয়ে ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখিবে এবং বাম পায়ের পাতা বিছাইয়া তাহার উপর বসিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *