জমিই মাত্র সম্পদ যা ধনী ও গরিব সবারই প্রয়োজন হয় । মানুষ কষ্ট করে শ্রম দিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই জমি ক্রয় করে । কৃষকের আরো দেখুন বৃষ্টিতে ভিজে সেই জমিতে ফসল ফলায় । গ্রামের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃষকেরা জমির উপর নির্ভরশীল । বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক জনেই তাদের জমির দাগ থেকে খতিয়ানটি বের করতে পারেনা । এজন্য একজনের জনের জমি অন্যজন দখল করে । এজন্য যাতে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই আপনার খতিয়ানটি দেখতে পারেন । তাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হলো জমির দাগ নম্বার থেকে খতিয়ানটি বের করুন । চলুন আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাকঃ
Table of Contents
জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করুন দাগসূচি
জমির দাগ নাম্বার থেকে খতিয়ানটি বের করা খুব সহজ । যদি আপনি আমাদের পোস্টটি ভাল করে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার জমির দাগ থেকে খতিয়ানটি বের করতে পারবেন । ভূমি মন্ত্রণালয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমিক আপনার জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করতে পারবেন । আপনি যদি আপনার মোবাইল থেকে যদি জমির দাগ নাম্বার দিয়ে বের করতে চান তাহলে ভূমি মন্ত্রণালয় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর ভিতরে ঢুকে আপনার জমির দাগ নাম্বার থেকে আপনার জমির দাগ নাম্বার থেকে খতিয়ানটি বের করতে পারবেন । ভূমি মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইট লিংক নিচে দেয়া হল, লিঙ্গের ভিতর প্রবেশ করে জমির দাগ দিয়ে আপনার খতিয়ানটি বের করুন ।
কিভাবে আপনি অনলাইন থেকে জমির দাগ মালিকানা যাচাই করবেন ।
উপায়ঃ
বর্তমানে বাংলাদেশে ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করছে । এই কারণে এখন ঝামেলা জড়াজড়ি না করে ঘরে বসে আপনি আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে জমির মালিকানা বের করতে পারবেন ।
জমির খতিয়ান বের করার নিয়মঃ
আপনি যদি আপনার জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করতে চান ? তাহলে, আপনি বর্তমানে দুইভাবে বের করতে পারবেন । বর্তমানে অনলাইনে খুব সহজেই হাতের নাগালেই আপনি আপনার জমির খতিয়ান টি বের করতে পারবেন । আপনার জমির খতিয়ান বের করতে হলে আপনাকে ভূমি জরিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে । তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার খতিয়ানটি বের করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে । খতিয়ান বের করতে হলে আপনাকে নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ভূমি জরিপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে ।
খতিয়ান কত প্রকার ঃ
(১) ম্যানুয়াল ।
(২) ডিজিটাল ।
ম্যানুয়াল ভাবে তুলতে আপনাকে খতিয়ান নাম্বার বা জমির দাগ নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে যোগাযোগ করে খতিয়ান তুলতে হবে । সেটেলমেন্ট অফিস থেকে খতিয়ান ১০০ শত টাকার মতো খরচ হয় । আর আপনি যদি খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে উঠাতে চান তাহলে আপনার খরচ লাগবে ৫০ টাকা ।
আর আপনি যদি খতিয়ানটি ডিজিটাল ভাবে তুলতে চান তাহলে দুই প্রকার খতিয়ান তুলতে পারবেন । খতিয়ান অনলাইন কপি এবং ডাকযোগে খতিয়ান থার্টি ফাইভ কপি পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন ।
খতিয়ানে কি কি উল্লেখ থাকে:
একটি খতিয়ানে মালিকানা তথ্যসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ থাকে যেমন-
একজন শ্রমিক দখলদারির নাম, ঠিকা্না , পিতার নাম , ও জমি দখল তার কোন শ্রেণীভুক্ত ।
দখলদার কর্তৃক জমির অবস্থান, পরিমান , ও সীমানা ।
জমির মালিকের নাম , পিতার নাম ও ঠিকানা ।
খতিয়ান তৈরি করার সময় খাজনা পরিমাণ ও ২৮,২৯,৩০ বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনা । গরু চারণভূমি,বনভূমি ও মৎস খামারের জন্য ধারণকৃত অর্থ ।
জমির মালিকানা বের করার নিয়ম
বর্তমানে বাংলাদেশের দুইভাবে জমির মালিকানা বের করা যায় ।
(১) যদি আপনার কোন খতিয়ান সম্পর্কে সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে আপনি আপনার খতিয়ান নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে খতিয়ানের ভলিউমের সাথে মিল থাকলে বুঝে নিবেন যে আপনার সাথে জালিয়াতি করা হয়েছে ।
(২) আর আপনি যদি নিজে নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে চান? তাহলে আপনি আপনার স্মার্ট ফোন অনলাইন সংযোগ করে দেখতে পারেন ।
জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করুন দাগসূচি বের করতে ক্লিক করুন
আমাদের আরও পোষ্ট পড়তে ক্লিক করুন
পরিশেষেঃ জমি সংক্রান্ত যদি আপনার কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাতে পারেন। আমরা আপা আপনার সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অতি মনোযোগের সাথে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আর আমাদের পেজে আসার জন্য আপনাকে স্বাগতম । আমাদের এই পোষ্টে যদি কোন সমস্যা থাকে বা বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা এর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব । এবং আমরা আমাদের পেজে বিভিন্ন রকম ক্যাটাগরির নিত্যনতুন পোস্ট করে থাকি আপনি সেগুলো পোষ্ট উপরের লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারেন ।