ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
ঘুম যা আমাদের শরীর ও মন কে সুস্থ রাখতে এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি । আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে (ঘুম না আসলে করণীয়।ঘুমানোর উপায়। নিশ্চিন্তে ঘুমানোর টিপস-Ghuna na asle koroniyo) ।অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে অকারণে আমাদের ঘুম আসে না । ঘুমাতে গেলে বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় চেপে বসে । আজকে আমি আপনাদের এমন একটি টিপস দিব যেটি পড়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে নিশ্চিন্তভাবে ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন । কি কি কারণে ঘুম আসে না? কিভাবে ঘুমাবেন? , আপনার উপর যতই চাপ থাকুক না কেন সেই চাপের কারণে যদি আপনি ঘুমাতে না পারেন তাহলে আজকের পোষ্ট টি আপনার জন্য । এক কথায় ঘুমাতে গেলে আপনার যা যা করণীয় তা নিচে আলোচনা করব । তাই চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক
ঘুম না আসলে করণীয়।ঘুমানোর উপায়। নিশ্চিন্তে ঘুমানোর টিপস-Ghuna na asle koroniyo
।
ঘুম না আসার কারণ বা দুশ্চিন্তা
আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় । যেমন, পারিবারিক চাপের কারণে অনেকেই ঘুমাতে পারে না, আবার দেখা যায় অনেকে অনেক ধরনের খারাপ চিন্তা করে থাকে, আবার দেখা যায় যে অনেকে বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে ঘুমাতে পারে না । এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে যেমন শরীর অপরিষ্কার থাকলে, এর পর আপনার বিছানা একটু আরামদায়ক না হলে ঘুম না আসার আর অনেকগুলো কারণ রয়েছে যাই হোক কিভাবে ঘুমাবো তার নিচে একটু আলোচনা করা যাক ।
আমাদের আরও পোষ্ট পড়তে নিচে ক্লিক করুন
১। সারা জীবন যৌবন ধরে রাখার উপায় হাদিস অনুযায়ী-অম্ভম শক্তি দুই ফলের তেল-Best Info
২। সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি /খাবার নিয়ম/শারীরিক সমস্যা/গুনাগুন/ভিটামিন-Best-Info
৩ । কাঠ বাদামের উপকারিতা/নিয়ম/উপাদান/পুষ্টিগুন/ কি রোগ নিরাময় হয়-স্বাস্থ্য টিপস
ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কি
ঘুম হচ্ছে এমন একটি জিনিস যা একজন সুস্থ মানুষ কে অতি নিমিষেই অসুস্থ করে দিতে পারে । আমাদের মস্তিষ্কে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি । একজন মানুষ যদি নিয়মিত না ঘুমায় তাহলে সেই মানুষটির মধ্যে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে । আমাদের শরীর -মন ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি । তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ঘুমাতে হবে ।
চার্ট অনুযায়ী ঘুমানোর সময়
ফিজিক্যালি একটি মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমালেও সমস্যা আবার স্বল্প সময়ে ঘুমানোর সমস্যা । ঘুমানোর একটি সময় রয়েছে ঠিক ওই সময় পর্যন্ত ঘুমানো ঠিক হবে । তাই চলুন দেখে নেয়া যাক কোন বয়সে কত ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । একটি তিন মাসের শিশুকে ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ৪ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । একটি ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুকে ১১ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী মানুষের ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা কোন প্রয়োজন । ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী বিদ্যালয় পর্ব ৯ থেকে ১০ ঘুমানো প্রয়োজন ।
একজন ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবক কে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ২৬ থেকে ৬৪ বয়সি প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষকে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ৬৫ বা তার উন ঊর্ধ্ব একজন বৃদ্ধ মানুষকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । উপরের বয়স অনুযায়ী একজন মানুষ ঘুমালে তার মানসিক শারীরিক সবদিক দিয়ে উন্নতি ঘটবে । আসুন এবার দেখে নেয়া যাক কিভাবে সকল দুশ্চিন্তা দূর করে ঘুমাবেন ।
ঘুমানো উপায় সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
ঘুম না আসলে কি কি করণীয়
শারীরিক বা মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে অনেকেই বুঝতে পারেনা । আবার আছে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার কারণে রাতে শান্তি মত ঘুমতে পাড়ে না । আজকে সে সকল মানুষেরা কিভাবে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব । একজন মানুষ যখন দুশ্চিন্তা বা বিভিন্ন কারণে ঘুমাতে যায় তখন তার ঘুম যেন চোখ থেকে হারিয়ে যায় । তাই ঘুমনোর একটি কৌশল হলো – আপনার যদি রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি এমন কিছু করুন যাতে আপনি অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েন । আপনি জানেন অনেক পরিশ্রম বা ক্লান্ত হবেন তখন আপনার শরীরের যে সকল কোষ রয়েছে সেগুলো নষ্ট হয়ে আপনার শরীরকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাবে যেখানে শুধু অলসতার বা ঘুমানোর একটি পর্যায় চলে আসবে, এবং সব দুশ্চিন্তা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে ।
আর রাতে আপনি শান্তি মত ঘুমতে পারবেন । আরেকটি কৌশল হলো আপনার বিছানাটা একটু আরামদায়ক নরম থাকতে হবে । আরেকটি কৌশল হলো আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে বিছানায় ঘুমাতে দিতে হবে । এই সবকিছুর মধ্যে সর্বোত্তম ঘুমানোর কৌশল হলো অধিক ক্লান্ত হওয়া । তাই ঘুমানোর আগে যদি আপনি একটু ব্যায়াম করে নেন তাহলে দেখবেন যে ঘুমানোর সময় আপনার সব দোষ চিন্তা মাথা থেকে দূর হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন । তাই এই তাই এই টিপসটি মেনে চললে আমার মনে হয় আর ঘুমের সমস্যা হবে না । ঘুমানোর আগে কোন প্রকার চিন্তা করা যাবে না । তাই উপরের টিপসগুলো মেনে চলুন না সারারাত নিশ্চিন্তে ঘুমান ।