গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না আমরা আজকে আমাকে আর্টিকেল এর মধ্যে তা আপনাদের জানিয়ে দেবো । গর্ভধারণ হচ্ছে একজন মহিলার কাছে আনন্দের একটি বিষয়, তারা গর্ভধারণ করলে খুব আনন্দিত হয় কারণ ভবিষ্যতে তার একটি বাচ্চা হবে এবং সে বাচ্চা লালন পালন করবে সেভাবেই তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে, কিন্তু আনন্দের সাথে সাথে এটি অনেক ঝুঁকি পূর্ণ । কারণ গর্ভধারণ করলে একজন মাকে অনেক সাবধানতার সাথে চলাচল করতে হয় । কারণ সাবধানতার সাথে চলাচল না করলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
তবে 90% মায়েরা সুস্থভাবে বাচ্চা প্রসব করতে পারে । তবে পাঁচ থেকে দশ পার্সেন্ট কিছু ঝুঁকির মধ্যে পড়ে । সুতরাং যদি তারা নিয়ম নীতির মধ্যে চলাচল করে তাদেরও আর এইরকম ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে না । যদি এ ধরনের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন যেন কোনরকম সমস্যা না হয় । কারণ একজন মা গর্ভধারণ করলে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয় । দীর্ঘ দশ মাস দশ দিন পেটে লালন পালন করে পৃথিবীর বুকে আনতে হয় । তাই যদি একটি বাচ্চা গর্ভপাত হয় তাহলে এটি তাদের জন্য অনেক কষ্টের একটি বিষয় ।
তবে গর্ভধারণ করলে ডাক্তারেরা মা ও বোনেদের মাছ মাংস এর সাথে অনেক ফলমূল খেতে বলে । কিন্তু কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । আজকে আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সে সকল ফল সম্পর্কে জানিয়ে দেবো । যাতে করে আপনারা গর্ভাবস্থায় এ ধরনের ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক কোন ধরনের ফল গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবেনা ।
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া ফল যাবে না
হ্যালো ভিউয়ার্স আপনি কি জানতে চান গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এ বিষয়ে । তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাকে স্বাগতম । কারণ এখন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেবো । আশা করছি আপনারা আজকের এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত নয় ।
কলা——গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস বা অ্যালার্জি থাকলে কলা খাওয়া ঠিক নয়। এতে থাকা চিটিনেজ ডায়াবেটিস রোগীদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
তাই কলা খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
খেজুর—–খেজুর হচ্ছে অত্যাধিক পুষ্টিকর একটি ফল । যা আমাদের শরীরকে অনেক উত্তপ্ত করে তোলে । এই কারণে খেজুর খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে । তাই গর্ভবতী মা ও বোনেদের খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।
পেঁপে——পেঁপেতে ক্ষীর গর্ভাশয়ের সংকোচনের কারণ হয়। এই ফল ল্যাটেক্সসমৃদ্ধ। যা জরায়ুর, রক্তপাত ও গর্ভপাত ঘটার কারণ হতে পারে।ফলে এই সময়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।তাই গর্ভবতী মায়েদের পেপে থাক থেকে বিরত থাকতে হবে ।
আঙ্গুর——–গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া মর্নিং সিকনেসের প্রবণতা বাড়ায়। এছাড়া সেই মায়েদের ডায়রিয়া হতে পারে।তাই আঙ্গুর থেকে বিরত থাকাই ভালো, কারণ আঙ্গুর গর্ভপাতের কারণ হতে পারে
আনারস—–ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় আনারস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই সময় আনারস খেলে জরায়ুর সংকোচন হয়। এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
তাই আনারস থেকে বিরত থাকাই ভালো,
তরমুজ——- তরমুজ শরীরের আর্দ্রতা বজায় রেখে টক্সিন দূর করে। যাইহোক, গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত টক্সিনের সংস্পর্শে আসা ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর যখন টক্সিন বের হয়।
তেঁতুল—–গর্ভাবস্থায় তেঁতুল না খাওয়াই ভালো। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি হরমোন প্রজেস্টেরনের ক্ষরণ কমায়। শরীরে এই হরমোন কমে গেলে।
গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া যাবে
গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া যাবে বা কোন ধরনের ফল খাওয়া ভালো তাই এখন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেবো । গর্ভাবস্থায় উপকারী ফল এর নাম হচ্ছে, আপেল, ডালিম, আম, নাশপতি, পেয়ারা, ও কমলালেবু এই ফলগুলো খাওয়া ভালো । আর যদি আপনাদের শরিলে কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাদের রুটিন অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করবেন । তাহলে দেখবেন সুস্থভাবে জন্ম ধারণ করতে পারবেন । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে আমাদের এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হতে পারবেন । সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি সকলেই যেন সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারেন এবং সুস্থ থাকতে পারেন । জরায়ু সংকুচিত হয়। তখন গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।