বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন নিয়ে জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকেন । আজকে আমরা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে নবজাতক শিশুর যত্ন নিয়ে কিছু কথা আপনাদের জানিয়ে দেবো । আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাইতো প্রত্যেকটি শিশুকে যত্নসহকারে বড় করতে হবে । তাহলে তার মেধাবিকাশ আরো বৃদ্ধি পাবে সেজন্য কোন প্রকার আঘাত না পায় সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে । গরমে শিশুরা অনেক অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকে । অনেক মায়েররা আছে জানে না কিভাবে নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে হবে । কিভাবে রাখলে তারা সুস্থ সবল থাকবে ।
এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে আজকে আমরা আপনাদের কিছু টিপস দিব যা থেকে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন । তাই তো আপনাদের কথা চিন্তা করি আজকে আমরা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে নবজাতক শিশুর গরমের দিনে কিভাবে যত্ন নিবেন সে বিষয়ে পোস্ট করব । আপনাদের বাড়িতে যাদের নবজাতক শিশু আছে তারা আমাদের পোস্টটি পড়লে কিভাবে তাদের প্রতি যত্নশীল হবে সে বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন নিবেন কীভাবে এই সম্পর্কে ।
গরমে নবজাতক শিশুর যত্ন
আপনি কি গরমের দিনে নবজাতক শিশুর কিভাবে যত্ন নিবেন এ বিষয়ে জানার জন্য এসেছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন । কারণ এখন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে নবজাতক শিশুর যত্ন নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সাজিয়েছি । যেসব মেয়েরা নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে চান তাদের প্রতি আরো বেশি যত্নশীল হতে চান আশাকরি আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে । এবং কিভাবে কোন তাপমাত্রায় রাখলে আপনার নবজাতক শিশুকে ভালো থাকবে সে বিষয়ে জানতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক নবজাতক শিশুর কিভাবে গরমের দিনে যত্ন নিবেন ।
যে ধরনের পোশাক পরিধান করাবেন : নবজাতক শিশুকে গরমের দিনে ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করাবেন । যাতে করে তাদের গরম কম লাগে । আর যদি মনে করেন মশা মাছি অথবা পোকামাকড়ের কামড় থেকে রক্ষার জন্য ফুলহাতা পোশাক পরতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাতলা এবং ঢিলা ঢালা পোশাক পোড়াতে হবে । এর থেকে ভালো আপনি মশারি ব্যবহার করতে পারেন । মশারি ইউজ করলে আপনি আপনার শিশুর গায়ে ছোট পোশাক রাখলেও চলবে ।
তাপমাত্রা:অনেকেরই যাদের টাকা আছে তারা বাড়িতে এসি লাগাও এক্ষেত্রে আপনারা আপনাদের নবজাতক শিশু কে যদি এসির ঘরে রাখতে চান অবশ্যই আপনাকে 26 ডিগ্রি তাপমাত্রা রাখতে হবে । তাহলে আপনার নবজাতক শিশুর কোনরকম ক্ষতি হবে না । আর সরাসরি নবজাতকের গায়ে পাখার বাতাস দেওয়া যাবে না । ঘরে যেন কোন প্রকার পোকামাকড় নাটকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে পোকামাকড় সহজে ঢুকতে পারবে না ।
আদ্রতা:গরমের দিনে শিশুদের জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে আপনার নবজাতক শিশুর আদ্রতা নির্ণয় করতে হবে । কি পরিমান মায়ের দুধ পান করতে চায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আরো খেয়াল রাখতে হবে দিনে কয়বার প্রস্রাব করতেছে । যদি দিনে 8 থেকে 10 বার প্রস্রাব করে তাহলে এটা বুঝবেন স্বাভাবিক রয়েছে ।
কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন
প্রত্যেকদিন শিশুকে গোসলের আগে তেল মালিশ করাতে হবে । তারপর গোসল করিয়ে দিবেন । গোসল করার পরে শিশুদের শরীরের লোশন মালিশ করাবেন । এতে করে নবজাতক শিশুর ঘুম ভালো হবে । অবশ্যই আপনাকে গোসল করানোর পানি কুসুম কুসুম গরম অথবা রোদে গরম করে নিতে হবে । তাহলে সে যে-কোনো ধরনের তাপমাত্রা শরীরের সাথে ম্যাচ করাতে পারবে । সতর্কতার সাথে থাকতে হবে যদি শিশুর জ্বর হয় দ্রুত নিকটস্থ শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
সর্বশেষ কথা,
আশা করছি আপনারা যদি প্রত্যেক এই গরমের দিনে শিশুদের এভাবে যত্ন নেন তাহলে অবশ্যই সে সুস্থ থাকতে পারবে । প্রত্যেকটি শিশুরই আমাদের যত্ন নেওয়া উচিত কারণ তারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ । আগামী দিন তারাই পৃথিবীর হাল ধরবে । আশা করছি আপনারা প্রত্যেকেই আপনাদের শিশুকে গরমের দিনে এভাবেই যত্ন নিবেন যেন তারা সুস্থ এবং সুন্দর থাকে । আপনাদের প্রত্যেককে শিশুর জন্য রইল শুভকামনা ।