কথায় আছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার । আজকে বাংলাদেশে একটি বিড়ল ঘটনা ঘটে গেল যা জাতি সারা জীবন মনে রাখবে । কুমিল্লার কোতয়ালী থানা আওতাধীন নানুয়া দিঘির পাড় সনাতন ধর্মাবলীদের পূজা মন্ডবে মূর্তির পায়ে মূসলিমদের পবিত্র কুরআন শরিফ দেখা গেছে । ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে ভাইরাল হয় । খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার ওসি সেখান থেকে কুরআন শরিফটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন । পুলিশ কোন রকম সিদ্ধান্ত দিতে না পারায় ধর্ম প্রান যুবকেরা মন্দির ভাংচুর করতে যাওয়ায় পুলিশ বাঁধা দেয় । বাধা না শুনায় ফাঁকা গুলি ও লাটচার্জ করেন
পুলিশের লাটি চার্জে অনেকে রক্তাক্ত হয়েছে যারা আহত ব্যাক্তিদের হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছে ।সনাতন ধর্মাবলিরা ও মুসলিমরা মুখামুখি সংঘর্ষে এখন কুমিল্লা শহর উত্তাল । কুমিল্লা শহরের আনাচে কানাচে পুলিশ পাহাড়া দিচ্ছে যেন কোন সমস্যা না হয় । প্রায় প্রতিটি পূজা মন্ডবে পুলিশ দেখা গেছে । মন্দিরের থাকা মানুষেরা বলতেছে যে এই কজটি করেছে আসলে কাজটি ঠিক হয়নি, এটি হাওয়ার কারনে আজ বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় বইতেছে । এখনও মানুষ বলে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু মানুষ আছে যারা কিনা মূর্খ তার পরিচয় দেয় । আমাদের বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ,খিষ্টান, ইত্যাদি সবাই মিলে মিশে কাঁধে কাঁধ মিলে চলি নেই কোন অসান্তি । সেই দেশে আজ এই সমস্ত মানুষের জন্য অসান্তিতে পরিনত হয়েছে । কুমিল্লা শহরে দলে দলে মিছিল করছে ধর্ম প্রান মুসলিমরা । মূর্তির পায়ে কুর আন শরিফ রাখার প্রতিবাদে হাজারও জনতার ঢল নেমেছে রাস্তায় । এলাকার মানুষেরা বলতেছে তাদের ধর্ম তারা পালন করবে এতে তো আমরা কোন দিন বাধা দেইনি তাদের ধর্ম তারা পালন করুক কিন্তু তারা আমাদের ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে কেন এই রকম করবে আমরা তো কোন দিন ও তাদের ধর্ম গ্রন্থ নিয়ে কোন এই রকম করিনি কেন তারা এই রকম করলো আমরা তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । আবার কেউ কেউ বলতেছে তাদের বিচার মহান আল্লাহ করবে ইনশাআল্লাহ্ । মিছিলে সব ধরনের মানুষকে দেখা গেছে যুবক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত, তারা সবাই এই ঘটানার প্রতিবাদ ও তিব্র নিন্দা জানাচ্ছে । বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন মিছিলে অংশ গ্রহন করছে আর এঁর কঠিন শাস্তির অনুরোধ জানাচ্ছে সরকারের কাছে ।সনাতন ধর্ম বলি মানুষেরা একটু বেশি আতংকে আছে কে কখন কোন দিকে আস্তেছে । এই নিয়ে পুলিশ যা বলতেছে ,এই অপরাধ যেই করুক না কেন শাস্থি তাকে পেতেই হবে তাই আপনারা উত্তেজিত না হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান , এঁর সাস্তি সে পাবে । আন্দোলনকারিরা তারা কোন কথা না শুনেই তারা আন্দোলন করেই যাচ্ছে , যতখন না অপরাধির ধরতেছে ততখন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত মুসলিমদের । এখন দেখা যাক কি হয় ।