কিডনি সমস্যা
আজকে আমরা আলোচনা করব মানুষের শরীরে কিডনির সমস্যা হলে কিভাবে বুঝব এবং কিভাবে এর প্রতিকার খুঁজে পাবো । অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কিডনি সমস্যায় মানুষ জর্জরিত হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন দুশ্চিন্তা জড়িয়ে পরে । আজকে আমার সেই সকল সমস্যার এবং এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো । যাদের যাদের এইরকম কিডনির সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে সেইসকল মানুষটির জন্য আজকের এই পোস্ট,তাই চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে কিডনি সকল সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা যাক ।
আরও পডুনঃ ওষুধ ছাড়াই স্বাস্থ্যবান হন ৫টি খাবারে | আগের থেকে অনেক উন্নতি হন গেরান্টি সহকারে ।
Table of Contents
কিডনি কি?
আমাদের শরীরের মেরুদন্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনী। মেরুদণ্ডের শেষ প্রান্তে দু’পাশে দুটি কিডনি থাকে । যা দেখতে হালকা বাদামির মত । কিডনি এর কাজ হচ্ছে মানবদেহ-রক্ত বর্জ্য পদার্থ ও মূত্র উৎপাদন ।
কিডনি রোগের লক্ষণঃ
আমাদের শরীর মেরুদন্ডের দুই পাশে দুটি কিডনি রয়েছে । কিডনির কাজ মূলত মানুষ শরীরের রক্তে যেসকল বর্জ্য পদার্থ রয়েছে তা শাকুনি দেওয়াই হচ্ছে কিডনির কাজ এবং মূত্র উৎপাদন করা ।
আসুন এবার জেনে নেয়া যাক কি কি লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝবে এগুলো কিডনি রোগের লক্ষণ?
প্রসাবে জ্বালাপোড়াঃ
কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে প্রসাবে জ্বালাপোড়া । অনেক সময় দেখা যায় যে প্রসব করতে গেলে প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করে । হালকা হালকা ব্যথা অনুভব হয় । এটি হচ্ছে কিডনি রোগের একটি লক্ষণ ।
প্রস্রাব লাল হয়ে যাওয়াঃ
প্রস্রাব লাল হয় এটি কিডনির রোগের একটি লক্ষণ। এটি একটি কারণ হতে পারে । অনেক সময় দেখা যায় যে প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয় লাল হয়ে গেছে । যদি প্রসাবের রং পরিবর্তন হয়নি রূপান্তর হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার কিডনিতে একটু হলেও সমস্যা আছে । তাই অলসতা না করে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ দরকার ।
ঘন ঘন প্রস্রাবঃ
একটি মানুষ দৈনিক প্রস্রাব করবে কমপক্ষে তিন থেকে চার বার, বড়জোর পাঁচবার । এর থেকে যদি বেশি করে তাহলে বুঝবেন যে সেই মানুষটি ঘন প্রস্রাব সমস্যা রয়েছে। একটি মারাত্মক সমস্যা অধিক পরিমাণ প্রসাব করলে শরীর থেকে বিভিন্ন পদার্থ গুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায় । অধিক পরিমাণে প্রস্রাব করলে দেখবেন শরীর ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পড়েছে । এটিও একটি লক্ষণ কিডনি রোগের ।
প্রস্রাবের গন্ধঃ
আমরা প্রসব করতে গেলে দেখি অনেক সময় প্রসাবে গন্ধ আসে । এটি কেন হয় আপনারা কখনো কি চিন্তা করেছেন? এটিও কিডনি রোগের লক্ষণ । কিন্তু আমরা না বুঝে আলোসতা দিয়ে থাকি । আমরা ভাবি যে হয়তো বা অনেকক্ষণ ধরে প্রসাব না করার কারণে গন্ধ আসতেছে । কিন্তু এটি মূলত কিডনির সমস্যার কারণে এই গন্ধ আসতেছে । কিডনি সঠিকভাবে আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো কে ছাকুনি ভালো করে দিতে না পারায় গন্ধ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে আসে ।
কোমরের দুপাশে ও পেটে ব্যথাঃ
যখন আমাদের কোমরের ব্যথা হয় তখন আমরা মনে করি হয়তো বা ক্যালসিয়ামের প্রবলেম হতে পারে । আর যখন পেটের মধ্যে ব্যথা শুরু হয় তখন মনে করে হতে পারে গ্যাসের ব্যথা হতে পারে । হ্যাঁ! অনেক সময় এগুলোর কারণ হতে পারে কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে কোনটি ক্যালসিয়াম এর প্রবলেম এবং কোনটি গ্যাসের ব্যথা ।
তা না হলে আপনাকে চরম দুর্দশায় পড়তে হবে । এটি একটি লক্ষণ । আপনি কিভাবে বুঝবেন যে এটি কিডনির ব্যথা । আপনার যদি ক্যালসিয়ামের সমস্যা থাকে তাহলে মেরুদন্ড বরাবর ব্যথা করতে পারে । আর যদি কিডনি সমস্যা হয় তাহলে মেরুদন্ড দুপাশে ব্যথা করতে পারে কিডনির স্থান অনুযায়ী ।
মুখ ফুলে যাওয়াঃ
এটি খুব সহজ ভাবে বুঝতে পারা যায় যে মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ কি কি হতে পারে? বিভিন্ন সমস্যার কারণে মুখ খুলে যেতে পারে । কিন্তু তাই বলে যে কিডনি সমস্যার কারণে ফুলে গেছে তা নয় । উপরের সমস্যা গুলো যদি আপনার থেকে থাকে আর যদি তার সাথেই আপনার মুখ ফুলে যায় তাহলে আপনার সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ খেতে পারেন ।
কিডনি রোগের প্রতিকারঃ
যে সকল খাদ্য খেলে আপনার কিডনি রোগের সমস্যাগুলো দূর হতে পারে । এছাড়া আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন ।
আসুন এবার দেখে নেয়া যাক কি কি খাদ্য খেলে কিডনি রোগের সমস্যাগুলো দূর হয় ।
১ । প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে ।
২। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ।
৩। ৪০ বছর বয়সী কম মানুষদের নুন এর পরিমান কমিয়ে দিতে হবে ।
৪। যদি ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ থাকে তাহলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ।
৫। সকল নেশা জাতীয় খাদ্য থেকে বিরত থাকতে হবে ।
৬ । পচা বাসি ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।
৭ । কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে ।