Skip to content
Home » কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও অমর বাণী

কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও অমর বাণী

  • by
কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি

কাজী নজরুল ইসলাম হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি । তিনি অনেক কবিতা ও উপন্যাস রচনা করে গেছেন । কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি বলা হয় । কারণ তিনি  অনেক বিদ্রোহী কবিতা লিখে গেছে তার লেখা কবিতায় অনুপ্রেরণা পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের মনে আরো বেশি সাহস যোগায় । তাইতো তার এই বিদ্রোহী কবিতার জন্য তাকে বিদ্রোহী কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় । তিনি বাংলা ভাষাকে তার কবিতা দ্বারা একটি উচ্চ আসনে নিয়ে গেছেন । যা বাঙ্গালীদের  গর্ব । কাজী নজরুল ইসলামকে ছোটবেলায় দুখু মিয়া বলে ডাকতেন । কারণ তার জীবনে অনেক ইতিহাস রয়েছে । তাই আজকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর উক্তি এবং অন্য বাণীগুলো আমরা তুলে ধরব । যা আপনাদের অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি এবং অমর বাণী সমূহ সম্পর্কে ।

কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি

আপনি কি কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন  । তাহলে আজকের এই পোস্টটিতে আপনাকে স্বাগতম  । কারণ এখন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের সুন্দর সুন্দর উক্তি গুলো অনলাইন থেকে বাছাই করে আপনাদের জন্য তুলে ধরেছি  । আশা করছি আমার দেওয়া উক্তি গুলো আপনাদের পছন্দ হবে  । যা আপনারা আপনাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত সব উক্তি সম্পর্কে  ।

  1. ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে আমায় তারা ডাকে সাথী আয়রে আয় সজল করুণ নয়ন তোলো দাও বিদায়।।
  2. অন্ধের মতো কিছু না বুঝিয়া, না শুনিয়া, ভেড়ার মতো পেছন ধরিয়া চলিও না । নিজের বুদ্ধি, নিজের কার্যশক্তিকে জাগাইয়া তোলে
  3. কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,/প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।
  4. অসুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর করতে; সর্বনির্যাতন থেকে মুক্ত করতেই মানুষের জন্ম।
  5. মনের পশুরে কর জবাই।
  6. নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না
  7. ব্যার্থ না হওয়ার সব চাইতে নিশ্চিন্ত পথ হলো সাফল্য অর্জনে দৃঢ় সঙ্কল্প হওয়া
  8. যার ভিত্তি পচে গেছে, তাকে একদম উপড়ে ফেলে নতুন করে ভিত্তি না গাঁথলে তার ওপর ইমারত যতবার খাঁড়া করা যাবে, ততবার তা পড়ে যাবে ।
  9. খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে। প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।
  10. বল বীর-বল উন্নত মম শির! শির নেহারী’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর
  11. নারীর বিরহে নারীর মিলনে নর পেলো কবি প্রাণ
  12. যত কথা তার হইল কবিতা শব্দ হইল গান।
  13. কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী; প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী
  14. ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই
  15. কপালে সুখ লেখা না থাকলে সে কপাল পাথরে ঠুকেও লাভ নেই। এতে কপাল যথেষ্টই ফোলে, কিন্তু ভাগ্য একটুও ফোলে না
  16. বসন্ত মুখর আজিদক্ষিণ সমীরণে মর্মর গুঞ্জনেবনে বনে বিহ্বল বাণী ওঠে বাজি
  17. কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।

কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণী

কাজী নজরুল ইসলাম তার জীবনের অনেকগুলো কবিতা লিখে গেছেন কবিতার পাশাপাশি তিনি অনেক বাণী এবং  উক্তি লিখেছেন। যে বাণীগুলো আজীবন মানুষের কাছে অমর হয়ে থাকবে । যে বাণীগুলো শুনলে মানুষের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে তুলে । আজকে আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের সকল বাণী আপনাদের সামনে তুলে ধরব । আশা করছি আমাদের বাণীগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন এবং অন্যদের মাঝে শেয়ার করতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত সব বানী সম্পর্কে ।

  1. আমরা রচি ভালোবাসার
    আশার ভবিষ্যৎ
    মোদের স্বর্গ-পথের আভাস দেখায়
    আকাশ-ছায়াপথ!
    মোদের চোখে বিশ্ববাসীর
    স্বপ্ন দেখা হোক সফল।
    আমরা ছাত্রদল।
  2. সত্য যদি লক্ষ্য হয়, সুন্দর ও মঙ্গলের সৃষ্টি সাধনা ব্রত হয়, তবে তাহার লেখা সম্মান লাভ করিবেই করিবে—— কাজী নজরুল ইসলাম
  3. রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই
    লিখে যাই এ রক্ত লেখা।—- কাজী নজরুল ইসলাম
  4. আজি হ’তে শত বর্ষে আগে, কে কবি,
    স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে।—- কাজী নজরুল ইসলাম
  5. খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা
    মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়
    দোলে গলায় বলাকার মালিকা।
  6. নর-ভাবে আমি বড় নারী ঘেঁষা! নারী ভাবে, নারী বিদ্বেষী!
  7. কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী; প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়-লক্ষী নারী।
  8. “আপনারে আজ প্রকাশের তব নাই সেই ব্যাকুলতা
    আজ তুমি ভীরু আড়ালে থাকিয়া নেপথ্যে কও কথা!
    চোখে চোখে আজ চাহিতে পার না; হাতে রুলি, পায়ে মল,
    মাথায় ঘোমটা, ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙে ফেল ও শিকল!
    যে-ঘোমটা তোমায় করিয়াছে ভীরু ওড়াও সে আবরণ!
    দূর করে দাও দাসীর চিহ্ন ঐ যতো আবরণ।”
  9. সর্বসহা কন্যা মোর! সর্বহারা মাতা!
    শূন্য নাহি রহে কভূ মাতা ও বিধাতা
  10. বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
    অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
    বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি
    অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
  11. তোমার মমতা-মানিক আলোকে চিনিনু …
    মাতা তুমি লাঞ্ছিতা বিশ্ব-জননী।
    তোমার আঁচল পাতা নিখিল দুঃখী-নিপীড়িত তবে,
    বিষ শুধু তোমা দহে যথা তব মাগো পীড়িত নিখিল ধরণীর ভার বহে।—- কাজী নজরুল ইসলাম

কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত উক্তি

  1. আমরা সবাই পাপী;
    আপন পাপের বাটখারা দিয়ে
    অন্যের পাপ মাপি !
  2. অনেক সময় খুব বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে নিজের সত্যেকে অস্বীকার করে ফেলা হয় । তাতে মানুষকে ক্রমেই ছোট করে ফেলে, মাথা নিচু করে আনে ও রকম মেয়েলি বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক ভালো ।
  3. যে জাত-ধর্ম ঠুনকো এত, আজ নয় কা’ল ভাঙবে সে ত,/ যাক না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া।
  4. অন্যায় রণে যারা যত দড় তারা তত বড় জাতি।
  5. মাটিতে যাদের ঠেকে না চরণ,/মাটির মালিক তাঁহারাই হন।
  6. বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।
  7. কান্না হাসির খেলার মোহে অনেক আমার কাটল বেলা
    কখন তুমি ডাক দেবে মা, কখন আমি ভাঙব খেলা?
  8. অন্যায় রণে যারা যত দড় তারা তত বড় জাতি।
  9. আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কূর্ণিশ।

কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমের উক্তি

  1. আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি
  2. কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী;
    প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী
  3. আমার যাবার সময় হল দাও বিদায়
    মোছ আঁখি দুয়ার খোল দাও বিদায়।
  4. তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন
  5. ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা না পেলে তার জীবন দুঃখের ও জরতার ।
  6. স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছে চলে জাগিয়া কেদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।
  7. শুণ্যে মহা আকাশে তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে ভাঙ্গিছো গড়িছো নীতি ক্ষণে ক্ষণে নির্জনে প্রভু নির্জনে খেলিছো
  8. সত্য যদি লক্ষ্য হয়, সুন্দর ও মঙ্গলের সৃষ্টি সাধনা ব্রত হয়, তবে তাহার লেখা সম্মান লাভ করিবেই করিবে
  9. তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ
  10. ভালোবাসা যে জীবনে অপমান করে সে জীবনে আর ভালোবাসা পায় না
  11. তিনিই আর্টিস্ট, যিনি আর্ট ফুটাইয়া তুলিতে পারেন । আর্টের অর্থ সত্য প্রকাশ এবং সত্য মানেই সুন্দর; সত্য চিরমঙ্গলময়
  12. যে যত ভণ্ড ধড়িবাজ আজ সেই তত বলবান।
  13. ”বসন্ত এলো এলো এলোরে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহুরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুঞ্জে গুনগুন গানে
  14. হিন্দু না ওরা মুসলিম এই জিজ্ঞাসে কোন জন হে, কাণ্ডারি বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র
  15. বিদ্রোহী মানে কাউকে না মানা নয়। যা বুঝিনা তা মাথা উঁচু করে বুঝি না বলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *