আমি আজকে আমার পোস্টের মাধ্যমে একজন সৌদি আরবের প্রবাসীর জীবনের গল্প তুলে ধরবো । প্রবাস জীবন যে কতটা কষ্টের যে প্রবাসী গেছে সেই জানে । প্রবাসীরা পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে খুব কষ্ট করে বিদেশে উপার্জন করে সেই টাকা দেশে পাঠায় । এক্ষেত্রে দেশের লাভ তাদের পরিবারও লাভ করে কিন্তু তারা তাদের দুঃখ কষ্টগুলো কাউকে বোঝাতে পারে না । প্রবাসীরা যে টাকা পাঠায় সেই টাকা বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পায় অনেক এক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হয় । কিন্তু তারা বিদেশে কেমন আছে কিভাবে আছে আমরা সেই খোঁজ খবর রাখি না । আজকে আমি একজন সৌদি আরব প্রবাসী সফলতার গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরব । অনেকেই আছেন যারা প্রবাসীদের জীবনের গল্প শোনার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকেন । বিশেষ করে যারা প্রবাসে যায়নি তারা অভিজ্ঞতার জন্য এসব গল্প পড়ার আগ্রহী থাকেন । তাদের কথা চিন্তা করেই আজকে আমি আমার এ প্রশ্ন করব । যাতে করে তারা জীবনে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রবাসে গিয়ে উপার্জন করতে পারে । তাহলে আসুন আজকে আমরা আমার এই প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে নেই একজন সৌদি আরবের প্রবাসী জীবনের গল্প সম্পর্কে ।
একজন প্রবাসীর সফলতার গল্প
আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে আমার বাড়ির পাশের একজন প্রবাসীর জীবন কাহিনী সম্পর্কে তুলে ধরবো । আমার বাড়ির পাশের যে ভাইটি প্রবাসে ছিল তার নাম হচ্ছে রুহুল আমিন । তার বয়স যখন 20 বছর তখন তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমায় । সৌদি আরবে যাওয়ার আগে তাদের সংসারে অনেক অভাব অনটন ছিল । যার কারণে তারা ঠিকমতো তিনবেলা খেতে পারত না । এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াতো । তাদের পরিবার ছিল পীর ভক্ত । রুহুল আমিন ভাইয়ের এরকম অগোছালো জীবন দেখে তার পীর বাবা তাকে সৌদি আরবে যাওয়ার পরামর্শ দেন । এবং সেই পীর রুহুল আমিন ভাইয়ের সমস্ত টাকা সেরে দেন সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ।
তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমায় । তিনি সৌদি আরব যে দালালের মাধ্যমে জান তিনিও তাকে প্রথম এক বছর কাদের সাথে ব্যবহার করেন । পরে তিনি আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা লাভ করেন এবং সেখানে একজন রেস্টুরেন্ট মালিকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয় তার । এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি । তিনি চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক হয়ে যান । সৌদি আরবে বর্তমান তার একটি বড় কারখানা রয়েছে । তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের এগারোশো প্রবাসী কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন । বর্তমানে রুহুল আমিন ভাইয়ের বাংলাদেশ চারটি বাড়ি এবং সৌদি আরবে দুইটি বাড়ি রয়েছে ।
তিনি প্রতিবছর বাংলাদেশে থেকে অনেক প্রবাসী ভাইদেরকে প্রবাসে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন । তিনি তার সততা এবং শ্রমের কারণে এত বড় হতে পেরেছেন । বিশেষ করে মহান আল্লাহতালা চেয়েছেন বলেই তিনি জীবনে সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন তার স্বামীর দ্বারা । আপনারাও যারা প্রবাসে আছেন আল্লাহ আপনাদের সকলকে সফলতা দান করুক এই কামনাই করি । আপনারা যেন ভালো এবং সুস্থ থাকেন সে দোয়াই করি । মহান আল্লাহতালা আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দিন । প্রবাস থেকে যেন সুস্থ এবং সুন্দর মত দেশে ফিরতে পারেন এ কামনাই করি ।